ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনা আছে,
যেগুলো শুনলে হৃদয় নরম হয়ে যায়।
আজ বলবো এমন একজন মানুষের কথা—
যিনি নিজের কষ্ট ভুলে গিয়ে,
অন্যের জন্য নিজের খাবারও বিলিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি হলেন—
হযরত আলী (রাঃ)।
একদিন হযরত আলী (রাঃ) ও তাঁর স্ত্রী
হযরত ফাতিমা (রাঃ)
নিজেরাও ছিলেন খুব ক্ষুধার্ত।
ঘরে সামান্য কিছু খাবার ছিল,
সেটাই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা।
ঠিক তখনই দরজায় কেউ এসে সাহায্য চায়।
ত্যাগের মুহূর্ত:
হযরত আলী (রাঃ) ও ফাতিমা (রাঃ)
একবারও ভাবলেন না—
“আমরা নিজেরা ক্ষুধার্ত।”
তারা আল্লাহর উপর ভরসা করে
নিজেদের খাবারটুকুই দান করে দিলেন।
সেদিন তারা না খেয়েই রাত কাটালেন।
আল্লাহর প্রশংসা:
এই মহান ত্যাগ আল্লাহর কাছে এত প্রিয় হয়েছিল যে,
আল্লাহ তা কুরআনে উল্লেখ করেছেন—
সূরা আদ-দাহর (৭৬:৮–৯)
“তারা আল্লাহর ভালোবাসায় খাদ্য দান করে—
অভাবগ্রস্ত, ইয়াতিম ও বন্দীদের।
তারা বলে—
আমরা তোমাদের খাওয়াই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা চাই না।”
শিক্ষা (Lesson):
এই ঘটনা আমাদের শেখায়—
▪️ আল্লাহর জন্য ত্যাগ কখনো বৃথা যায় না
▪️ দান কখনো রিজিক কমায় না
▪️ নিয়ত খাঁটি হলে, ছোট আমলও বড় হয়ে যায়
▪️ আল্লাহ আমাদের অন্তরের অবস্থা দেখেন
আমাদের জন্য বার্তা:
আজ আমরা হয়তো সম্পূর্ণ ক্ষুধার্ত নই,
তবুও অনেক সময় দান করতে দ্বিধা করি।
হযরত আলী (রাঃ) আমাদের শেখালেন—
দান দিতে হয় নিজের প্রয়োজনের মাঝেও।
সমাপ্তি (Ending):
আজ থেকেই চেষ্টা করি—
নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতে।
হোক সেটা অল্প,
কিন্তু হোক আল্লাহর জন্য।
কারণ—
আল্লাহর জন্য করা ত্যাগ
কখনোই বৃথা যায় না।
Comments
Post a Comment